গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। গাজরের উপকারিতা কি কি?

 


কি উপকার হয় গাজর খেলে?

গাজর খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী খাদ্য উপাদান, যার কারণে একে সুপার ফুড ও বলা হয়। এটি একটি শীতকালীন সবজি। প্রায় সব দেশেই গাজর পাওয়া যায়। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে গাজর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর দিয়ে সালাত সহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়।

গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ সহ নানা ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান।
আসুন গাজরের দশটি বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই...

সংক্ষেপে

  1. উজ্জ্বল ত্বক
  2. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
  3. ক্যান্সার প্রতিরোধ
  4. ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
  5. হার্ট সুস্থ রাখে
  6. দাঁত মজবুত রাখে
  7. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
  8. ওজন কমায়
  9. শিশুদের বুদ্ধি বৃদ্ধি করে
  10. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

বিস্তারিত

1. উজ্জ্বল থাক
গাজরে বিদ্যমান পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে রাখে সুস্থ ও সতেজ। আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে গাজরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তোকে দাগ পড়া এবং ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে গাজর। তাছাড়া স্কিনটনকে উন্নত করতে সহায়তা করে গাজর বিদ্যমান পুষ্টিগুণ উপাদান।

2. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
আমরা সকলেই জানি ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। গাজর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা শরীরে  ভিটামিন "এ" তে পরিণত হয়। যা দেহের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত উপকারসহ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে খাবারের তালিকায় অবশ্যই গাজর রাখবেন।

3. ক্যান্সার প্রতিরোধ
খাবারের হজম প্রক্রিয়া শেষ শেষে যেই অবশিষ্ট গুলো শরীরের ভেতরে থেকে যায় সেগুলোকে বলে ফ্রি রেডিকেলস বা মৌল। এই রেডিকেলস গুলো দেহের কিছু কিছু কোষ নষ্ট করে ফেলে যার কারণে সৃষ্টি হতে পারে দেহে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ। গাজরে বিদ্যমান ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি একত্রিত হয়ে এই রেডিকেলস গুলোকে ধ্বংস করে দেয়। আর এভাবেই গাজর দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

4. ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম দেহের ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
যে সকল ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে সেগুলোর প্রায় সবটাই বিদ্যমান রয়েছে গাজরে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গাজর একটি ভাল খাদ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।

5. হার্ট সুস্থ রাখে
গাজরে বিদ্যমান ডায়েটরি ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ধমনীর উপর কোন কিছুর আস্তর জমতে দেয় না। যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং হাটকে সুস্থ সবল রাখে।

6. দাঁত মজবুত রাখে
সুস্থ এবং সুন্দর দাঁত আমাদের সকলেরই কাম্য। গাজরের বিদ্যমান মিনারেল দাঁত মজবুত রাখে এবং মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

7. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে গাজর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতি সপ্তাহে ছয়টির বেশি গাজর খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলক কম কাজল খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কম।

8. ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন। কারণ গাজর দেহে বিদ্যমান অপ্রয়োজনীয় চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

9. শিশুদের বুদ্ধি বৃদ্ধি করে
শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের সাহায্য করে গাজর। আপনার শিশুর পরিপূর্ণ মেধা বিকাশের জন্য তাকে খাওয়াতে পারেন গাজরের হালুয়া সহ নানা প্রকারের গাজরের তৈরি খাদ্য।

10. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
গাজরো বিদ্যমান খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি দের হাড় গঠন, নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করে এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। আর এভাবেই গাজর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।


বিশেষ কথা

নিয়মিত ঔষধ সেবনকারীদের ক্ষেত্রে গাজর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ এতে যকৃতে টক্সিক জাতীয় উপাদান তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।



আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করছি, বিদায়।

Post a Comment

0 Comments